সোনিয়া আফরিন।।
কুমিল্লার হোমনায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ী-ঘরসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কা প্রতীকের সমর্থকদের ১৬টি বাড়ীতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার দৌলতপুরে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতিসহ মালামাল, স্বর্ণালঙ্কার, গবাদীপশু ও নগদ টাকা লুটপাট হয়।
দুলালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম বাঘার ছেলে ইতালী প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ও তার ভাই রাসেলসহ হামলার শিকার পরিবার গুলো এ অভিযোগ করেন।
তারা জানান, বুধবার গভীর রাতে ৪০-৫০জনের একটি স্বশস্ত্র দল দৌলতপুর গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের বাড়ী-ঘরে এ হামলা চালায়।
এতে বাদল নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে রাতেই হোমনা থানা পুলিশ একটি দল ঘটনাস্থল হয় এবং পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে গঠনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সরজমিনে দৌলতপুর গ্রাম এলাকায় গেলে দেখা যায়, গ্রামের দুলালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার গাজী কালা মিয়া, ইতালি প্রবাসী মো. আনোয়ার হোসেন, আবু মুছা মিয়া, মোহন মিয়া, জাকির হোসেন, ছদুরুদ্দিনের বাড়ীর জমসেদ মিয়া, হনুফা বেগম ও অরুনা বেগমের বাড়ী-ঘরসহ প্রায় ১৬টি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের এবং বসত বাড়ির বেড়ায় দায়ের কুপের চিহ্ন পাওয়া যায়।অনেক ঘরের মালামাল এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলামের ছেলে ইতালি প্রবাসী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ৪০-৫০জনের একদল সন্ত্রাসী ককটেল গুলি ও ফটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং বাড়ী-ঘরে কুপিয়ে ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। প্রথমে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আলমারী ও ওয়ারড্রপ ভেঙ্গে নগদ ১১লাখ টাকা, ৪শ’ ইউরো, আনুমানিক ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটে নেয়।
অন্যদিকে হনুফা, অরুনা বেগম, গাজী কালা মিয়া ও জমশেদ মিয়ার বাড়ী থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও গোয়াল থেকে গরু নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাতেই হোমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী মনে করেন এসব ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত দাগী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ভোটকে অবাদ ও সুষ্ঠ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।
দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শওদাগর বলেন ঘটনার কথা আমি শুনেছি, তবে এই ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি তো নির্বাচন করি না, কেন আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলা হচ্ছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল মজিদ জানান, জসিম চেয়ারম্যান ও জোনাব আলীর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই গ্রামটির বেশিরভাগ ভোট আমার পক্ষে যাবে, এ কারণে আমার ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘটনার কথা শুনে আমি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে বার-সাতটি ঘরের ভাঙচুরের ঘটনা হয়েছে বলে শুনেছি । এসিল্যান্ড স্যার ও বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page